ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্বপাশে ইমাম সাহেবের বাড়ির দরজা পর্যন্ত আব্দুল মোমেন সড়ক। আধা কিলোমিটারের এই কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় রয়েছে। দীর্ঘ ২৫ বছরে রাস্তাটির কোথাও লাগেনি সংস্কারের ছোঁয়া।
বর্তমানে রাস্তার বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই হয়ে যায় হাঁটু পানি। এই পানি থাকে দিনের পর দিন।সড়কটির নাজুক অবস্থা হওয়ায় যানবাহন ঠিকমতো চলাচল করে না। এতে দুর্ভোগের শেষ নেই ওই সড়ক দিয়ে চলাফেরা শত শত মানুষের। স্থানীয়রা একের পর এক নানা স্থানে যোগাযোগ করেও সড়কের এই দুর্দশা দূর করতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা মো. নূরুল্লাহ ও মো. শাহে আলম বলেন, আমাদের পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির। তা কেবল কাগজে-কলমে। কারণ এই পৌরসভার নাগরিকরা অনেক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যেমন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মোমেন সড়ক। এই সড়কটি বিগত ২৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর একবারের জন্যও আর এই সড়কটিতে কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি।
কালীগঞ্জে বিএনপি নেতার উদ্যোগে সড়ক ও খাল পরিষ্কারসড়কটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। সড়কের বেশির ভাগ স্থানেই এখন বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার সময় এই সড়কটি দিয়ে চলাফেরা করা দায়। কারণ একদিন বৃষ্টি হলে দিনের পর দিন সড়কে পানি জমে থাকে। ফলে স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। তাই এলাকাবাসী দ্রুত এই সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
মো. মনির হোসেন এবং মো. আবু নাঈম নামে ওই এলাকার আরো দুই বাসিন্দা জানান, সড়কটিতে প্রচুর গর্ত থাকায় প্রায়ই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। বর্ষাকালে শিশুদের স্কুল-মাদরাসায় পাঠানো যায় না।
বাইশারীতে সড়কের বেহাল দশায় চলাচল বন্ধএছাড়া গ্রীষ্মের সময় ধুলোবালিতে নাকাল হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। যার জন্য আব্দুল মোমেন সড়কটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, তিনি এ সড়কটি সংস্কারের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. শাহ আজিজ বলেন, পৌরসভায় যে বরাদ্দ রয়েছে, তা দিয়ে পাকা রাস্তা বা মেরামত করা সম্ভব হয় না। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় কয়েকটি রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্দ পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অন্যান্য রাস্তাগুলোর সঙ্গে ওই রাস্তাটিও সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
