পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, জুলাই যোদ্ধা নুরুজ্জামান কাফিকে পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজোপাড়া গ্রামে তার এ বাড়ি পরিদর্শন করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজোপাড়া গ্রামে তার এ বাড়ি পরিদর্শন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
দীর্ঘ ৮ মাসেও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কাফি দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমি প্রথম জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্তানা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। সেজন্যই হাসিনার দোসররা আমার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন যাদের আটক করেছে, তারাও স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আমি সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আমার পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণ দিয়ে আমার পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিন।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, আমরা সরেজমিনে এসে কাফির পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। পুড়ে যাওয়া ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারের কাছে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করবো। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাফির পরিপূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাওয়া পাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে কাফির বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাড়িতে তার পিতা-মাতাসহ স্বজনরা থাকলেও তারা ঘর থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাৎ হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১) নামের দুই যুবক জেলহাজতে রয়েছেন।
