মা ইলিশ রক্ষায় চলমান ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে বরগুনায় ১৩ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সদর উপজেলার নলটোনা এলাকায় বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে জেলা মৎস্য বিভাগ। এ সময় শিকার করা ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ মন মাছ জব্দ করা হয়।
অভিযান শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক জেলেদের মধ্যে ট্রলার মালিক এক জনকে ১৫ দিন এবং বাকি ১২ জেলেকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. পালাশ, মো. আউয়াল, মো. মনির, সাগর, ছগীর, মো. নুরুজ্জামান, রাকিব, রিপন মিয়া, রাজিব সিকদার, জয় বিশ্বাস, সুশীল চন্দ্র হাওলাদার, মাসুদ এবং ট্রলার মালিক রিপন সিকদার। তারা সবাই নলটোনা এলাকার বাসিন্দা।
বরগুনা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথম দিন থেকেই বরগুনায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিষখালী নদীতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল নলটোনা নামক এলাকা সংলগ্ন বিষখালী নদীতে জাল ফেলে ছোট ট্রলার দিয়ে অসাধু জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায়। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের অপরাধে ১৩ জেলেকে আটক করা হয়।
এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে ৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে প্রায় ১৮৭ কেজি ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। অভিযান নিষেধাজ্ঞার শেষদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহসীন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। গতকাল রাতে নলটোনা এলাকায় জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছিলেন, সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৩ জেলেকে আটক করা হয়।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন আরাফাত বলেন, পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে উপজেলা মৎস্য অফিসের সদস্যরা বিষখালী নদীতে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাছ শিকার করতে থাকা ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আটক ১২ জেলেকে ৭ দিন এবং একজন ট্রলার মালিককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, ২১ জেলের কারাদণ্ড