ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কাউখালীতে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সুপারি হাট

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
পিরোজপুরের কাউখালীতে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সুপারি হাট। এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুপারির গুরুত্ব অনেক। ধানের পরই এর স্থান। সুপারি গাছ নেই এমন কোন বাড়ি এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।  
 
এখানকার সুপারির মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর মৌসুমে হাটটি বেশ জমে ওঠে। লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে টিকে আছে ঐতিহ্যবাহী এই হাট।
 
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর এ অঞ্চলে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের হাটবাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুপারি উঠছে। সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের।
প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারি বেচাকেনা হয় কাউখালীতে। দক্ষিণ অঞ্চলের ১৫/২০টি উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি নিয়ে বিক্রির জন্য কাউখালীতে আসে। আর স্থানীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ ভারতে পাঠান। 
 
সপ্তাহে শুক্র ও সোম- দুইদিন এই বৃহত্তম সুপারির হাট বসে। এছাড়া উপজেলার ১০/১২টি ছোট-বড় হাটে সারাবছরই সুপারি কেনাবেচা হয়। শুকনো সুপারি মৌসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় মাস এবং পাকা সুপারির মৌসুম শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতি কুড়ি (২১০টি) সুপারি শ্রেণি ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। 
 
সুপারি ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন ও আফজাল জানান, এ বছর সুপারির ফলন গত বছরে তুলনায় ভালো, দামও বেশি। 
সুপারি বাগানের মালিক মানিক মৃধা বলেন, এ বছর আমার সুপারি বাগানটি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। গত বছর ফলন কম হওয়ায় ২ লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেছিলাম।
 
কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস বলেন, এখানকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও চাষিদের পরিশ্রমে সুপারির ফলন ভালো হয়। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা করে থাকি।
NJ
আরও পড়ুন