ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভয়াল ১২ নভেম্বর স্মরণে কলাপাড়ায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় আন্ধারমানিক নদীর তীরে হেলিপোর্ট মাঠে তারুণ্যের কলাপাড়া ও যুব ফোরাম এ আয়োজনে করে।

এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় আমরা কলাপাড়াবাসীর আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় শহীদ মিনারে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর রাতে উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ভয়াল গোর্কি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ কাড়ে ১০ লাখ মানুষের। ভয়াল এই দিনের কথা স্মরণ করতে গেলে আজও আঁতকে ওঠেন কলাপাড়ার প্রবীণ মানুষেরা। সরকারী হিসেবে পটুয়াখালী জেলায় (বরগুনাসহ) সেদিন রাতে ৪৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। বাস্তবে এ সংখ্যা লাখেরও বেশি।

বর্তমান রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ, সোনার চর, মৌডুবি, বড় বাইশদিয়াসহ দ্বীপ সমৃদ্ধ জনপদ পরিণত হয় জনশুন্য বিরান ভূমিতে। মানুষ ছাড়া ঘরবাড়ি-ফসলসহ সম্পদ হানি হয় শত সহস্রাধিক কোটি টাকার। সমস্ত খালবিল নদী নালায় ছিল লাশের মিছিল।

এতে উপস্থিত ছিলেন- কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু, সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মাননু, কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মো. রাসেল, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল মোল্লা, আমারা কলাপাড়াবাসির সভাপতি নাজমুস সাকিব, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, তারুণ্যের কলাপাড়া ও যুব ফোরাম'র উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম, আহ্বায়ক রাকায়েদ আহসান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি এবং প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের কান্না জড়িত এই দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য উপকূলবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান।

NJ
আরও পড়ুন