চার মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না চাঞ্চল্যকর চারটি খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা থাকায় এখনই দুজনের মুক্তি মিলছে না।  

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সাজ্জাদের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে তাদের জামিন হলেও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জামিন আদেশ পৌঁছে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। 

আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কারাবন্দী সাজ্জাদ ও তামান্না চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। দুজনের জামিননামা চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যদিও আসামির বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই মুক্তি মিলছে না।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানায় দোকান কর্মচারী শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাজ্জাদ ও তামান্নাকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামিন দেন হাইকোর্ট। 

একই দিন হাইকোর্টের একই বেঞ্চে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট পাঁচলাইশ থানার ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় সাজ্জাদ তামান্নাসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়। 

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২২ সেপ্টেম্বর ওই একই বেঞ্চ ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট পাঁচলাইশ থানার দোকান কর্মচারী মো. ফারুক হত্যা মামলায় তামান্না ও সাজ্জাদ জামিন পান। 

এছাড়াও ওই দিনই পাঁচলাইশ থানার আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যা মামলায়ও জামিন পান তারা। 

চারটি মামলাতেই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজ্জাদ ও তামান্নাকে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের দ্বৈত বেঞ্চ। ১৫ ও ২২ সেপ্টেম্বর জামিন হলেও হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী যথাক্রমে ১৮ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবর স্বাক্ষর করেন। 

সেই জামিন নির্দেশ প্রায় তিন মাস পর ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে এসে পৌঁছে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহ সৈয়দ শরীফ বলেন, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় হাইকোর্টের জামিননামা এসেছে। তার স্ত্রী তামান্নার মামলায়ও জামিননামা এসেছে। গত মঙ্গলবার জামিননামা পৌঁছে কারাগারে। 

তিনি আরও বলেন, সাজ্জাদ বর্তমানে রাজশাহী ও তামান্না ফেনী কারাগারে। জামিননামা সংক্রান্ত কাগজপত্র দুই কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে আদালত সূত্র জানায়, সাজ্জাদ তামান্না তিন মাস আগে জামিন পেলেও জামিননামা চট্টগ্রাম আদালত এবং কারাগারে পাঠানো হয় দেরিতে। জামিনের বিষয়টি আড়াল এবং লুকোচুরির কৌশল অবলম্বন করা হয়।

AHA