ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নোয়াখালীতে জমে উঠেছে পশুর হাট, দাম নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ১১:২৫ এএম

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে নোয়াখালীতে জমে উঠেছে পশুর হাটের বেচাকেনা। তবে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে খামারিদের কপালে। কারণ, গো খাদ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই অনুপাতে যদি তারা গরুর দাম না পান তাহলে লোকসানে পড়তে হবে অনেক খামারিকে, এমনকি গরুর খামার অস্তিত্ব সংকটেও পড়তে পারে।

নোয়াখালী জেলায় বিভিন্ন গরুর খামার ঘুরে দেখা যায়, শুরুতে যে খামারগুলো বড় ছিল, তা গোখাদ্যসহ নানান সংকটে এখন ছোট হয়ে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে ২৫ কেজির গো খাদ্যের বস্তা ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পাওয়া যেত, সেটার দাম বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকা। গমের ভুসি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি বস্তা ২ হাজার ১শ টাকা। আর খৈল ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩শ টাকা।

নোয়াখালী সদর উপজেলার খামারি ফয়সাল জানান, গত ৫ বছর আগে যে খাদ্যগুলো বস্তাপ্রতি ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল তা এখন কিনতে হচ্ছে আড়াই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। এতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এই গোখাদ্যর দাম বৃদ্ধির পেছনে বড় ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে জানান এ উদ্যোক্তা।

তিনি আরও জানান, এবার আমি ২৬টি গরু লালন-পালন করেছি। তবে আগের তুলনায় খাদ্য, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের চড়া মূল্যের কারণে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। গরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার খামারিরা চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৫৩ হাজার ৪০৪টি, বলদ ৩৭ হাজার ৮৯২টি, গাভি ১৩ হাজার ৭৮৮টি, মহিষ সাত হাজার ৪৭৬টি, ছাগল ৪২ হাজার ৩১৬টি, ভেড়া ১২ হাজার ৫০০টি ও অন্যান্য পশু দুটি।

HK/FI
আরও পড়ুন