ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আমন ধানের চারা সংকট, চড়া দামে বিক্রি

আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে বন্যাকবলিত চর পোড়াগাছা ও চর বাদাম ইউনিয়ন ছাড়াও অন্য ৬টি ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভার কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। অস্বাভাবিক জোয়ার, অতিবৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা এবং সর্বশেষ বন্যা আক্রান্তের ফলে আমন ধানের প্রায় ৭শ ৫০ হেক্টর বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ২শ হেক্টর। এতে আমন ধানের চারা সংকট ও চারার চড়া দামের কারণে দিশাহারা কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের কথা থাকলেও বন্যার ফলে এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৮ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি রয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে আপদকালীন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৭শ কৃষককে প্রণোদনার অংশ হিসেবে দু’একদিনের মধ্যে আবারও প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি সার, নগদ ১ হাজার টাকাসহ ইত্যাদি দেওয়া হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চর রমিজ, চরআলগী, চরগাজী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে। তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমন চারার যথেষ্ট সংকট রয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বীজও জোয়ার-বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে উঁচু স্থানে দ্বিতীয়বার বীজতলা করে আমন চারা রোপণ করছেন তারা।

কৃষকরা বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করছেন। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা। আবার প্রতি ডেসিমেল বীজতলার চারা বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। 

কৃষকরা জানান, প্রতি ডেসিমেল বীজতলার চারা দিয়ে ৪৮ শতাংশ (১০গন্ডা) জমি রোপণ করা যাবে। 

কৃষক আবদুল হালিম জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় প্রত্যাশা অনুযায়ী চারা উৎপাদন হয়নি। পানিতে বীজের অঙ্কুর নষ্ট হয়ে গেছে। জমি উঁচু হওয়ায় তাকে অবশ্য দ্বিতীয়বার বীজ ফেলতে হয়নি। 

নিজের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চারা কিনতে আসা শাহে আলম জানান, ৮ হাজার টাকা দিয়ে ধানের চারা কিনেছেন এর সাথে ট্রাক্টর ভাড়া ৭শ টাকা যোগ হয়েছে। এরপরেও চারা প্রয়োজন, কোথাও পাচ্ছি না। বহু জমি খালি পড়ে থাকবে বলেও শংকা প্রকাশ করেন। 

তবে কৃষকদের দাবি সংকটের কারণ দেখিয়ে বীজতলা মালিকরা চারার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে জমি অনাবাদি থেকে যাবে এ আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে চারা কিনতে হচ্ছে।

রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, গত কয়েকদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কৃষকরাও একাধিকবার বীজতলা তেরি করে, নিজের চেষ্টায় চারা কিনে জমি চাষ করছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য মাঠে আছি। আশাকরি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হব।

AHA/FI
আরও পড়ুন