ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জাহাজে ৭ খুন: নেপথ্যে যা জানা গেল

মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অপর জাহাজ মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ জানান, সারবহনকারী আল বাখেরাহ রোববার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। এরই মধ্যে কোম্পানির মালিক শিপন বাখেরাহ জাহাজে ফোন করে কাউকে পাননি।

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে কার্গো জাহাজে সাত জন ক্র’কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গলাকেটে ডাকাতরা খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তারা এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত নয়। পুলিশ বলছে, সাত খুনের তদন্ত চলছে।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাহাজে ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, আহত একজন হাতের ইশারায় জানিয়েছে তারা ৮ জন ছিলেন। ঘটনাটি কিভাবে হয়েছে এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ডাকাতি, কিংবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে।

চাঁদপুরের নদীবেষ্টিত হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে থামানো অবস্থায় থাকা মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের আল বাখেরাহ নামক জাহাজ থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই ইউনিয়নের মাঝেরচর নামক স্থান থেকে মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ। পুলিশের ধারণা, জাহাজে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অপর জাহাজ মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ জানান, সারবহনকারী আল বাখেরাহ রোববার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। এরই মধ্যে কোম্পানির মালিক শিপন বাখেরাহ জাহাজে ফোন করে কাউকে পাননি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় মুগনি জাহাজ থেকে যোগাযোগ করার জন্য বলে। ওই সময় মুগনি জাহাজটি মাওয়া থেকে ঘটনাস্থল দিয়ে অতিক্রম করার সময় বাখেরাহ জাহাজটি দেখতে পায়। ওই সময় তারা জাহাজের লোকদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ নাম্বারে কল দেন।

এদিকে ৯৯৯ নাম্বারে কলের সূত্র ধরে চাঁদপুর থেকে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমানের উপস্থিতে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ জাহাজ থেকে প্রথমে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ৩ জনকে আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, জুয়েল নামে আহত একজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গলা ও শ্বাসনালীও কাটা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আর উদ্ধার করে আনা সজিবুল ও মাজেদুলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 

AS
আরও পড়ুন