সাবেক সংসদ সদস্যদের নামে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা জাপানি ল্যান্ড ক্রুজার জেডএক্স বিলাসবহুল গাড়ির নিলামে তেমন সাড়া মেলেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়িগুলো নিলামে তুললে এমন চিত্র দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক এমপি আকতারুজ্জামান এবং যশোর-২ আসনের সাবেক এমপি মো. তৌহিদুজ্জামানের গাড়িতে মহসীন মোহাম্মদ কবীর নামের এক ব্যক্তি মাত্র এক লাখ টাকা দর হাঁকেন। অথচ চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কমুক্ত আসা প্রতিটি গাড়ির মূল্য নির্ধারণ করে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা।
নিলামে উঠা এসব বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে ১০ গাড়ি কিনতে কেউ আগ্রহ দেখাননি। ১৩ গাড়ির বিপরীতে ২৮ জন বিডার আগ্রহী হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়মে নির্ধারিত (সংরক্ষিত) দরের ৬০ শতাংশ না হওয়ায় আবার নিলাম ডাকা হতে পারে। প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা।
তবে সাবেক এমপিদের গাড়িতে আগ্রহ কম থাকলেও এর বাইরে যেসব গাড়ির নিলাম হয়েছে সেগুলোতে ভাল সাড়া পেয়েছে কাস্টমস। দুইটি গাড়ির নির্ধারিত দরই দিয়েছেন বিডাররা। বাকিগুলোতে ৬০ শতাংশের বেশি পড়েছে দর।
এ বিষয়ে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ দর না আসায় সাবেক এমপিদের গাড়ি প্রথম নিলামে কেউ পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় নিলামে উঠবে এসব গাড়ি।
তিনি বলেন, এমপিদের গাড়ির বাইরে যেসব গাড়ি ছিল সেগুলোতে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল এক কোটি ৩৭ লাখ, আরেকটি গাড়ির মূল্য ছিল ৩০ লাখ ৩৮ হাজার। দুইটি গাড়িই ওই দাম দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এখন এসব গাড়ির বিপরীতে নতুন করে কোনো মামলা হয়েছে কিনা যাচাই করে নিলামকারীদের হস্তান্তর করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইন নিলামে জাপানের ল্যান্ড ক্রুজার তোলা হয় ২৬টি। এর মধ্যে ২৪ জন সাবেক এমপির গাড়ি ২০২৪ মডেলের এবং অন্য দুইটি আরও আগের। নিলামে ছিল পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটির সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি। নিলামকারীদের জন্য গাড়ি দেখার সুযোগ ছিল ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি।
