কুমিল্লায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) মো. তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা যায়, সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন নির্ধারিত প্রশাসনিক কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন, কিন্তু এডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম তার বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আপনাকে এখনই গ্রেপ্তার করতে পারি।’ এই বক্তব্যের পরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশাসনিক শিষ্টাচার, ক্ষমতার সীমারেখা ও কর্মকর্তাদের পেশাগত আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
জানা যায়, জেলার ডিসি পার্ক প্রকল্পের কাজ চলাকালে এক পর্যায়ে জেলখানার লোকজন জেল সুপারের নির্দেশে নির্মাণকাজে নিযুক্ত ভেকুওয়ালা (মাটি খুঁড়ার যন্ত্রচালক) কে মারধর করে। পরে জেলা প্রশাসনের স্টাফরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও ন্যাশনাল ডিসি (এনডিসি)।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ঘটনাস্থলে এডিসি, তখন এডিএমের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে কথা বলেন, তখন জেল সুপার কথোপকথন রেকর্ড করেন এবং সেটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। একইভাবে এডিসি তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।