ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বাঁশখালী পৌর অফিস সহায়কের মুক্তির দাবি

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৮ পিএম

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার অফিস সহায়ক ও পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য মিজানুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এই দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে বাঁশখালী পৌর কার্যালয়ে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ও বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল ইসলাম, বাঁশখালী পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কাজী আরাফাত, পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু তাহের, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাবুল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পৌর অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান পারিবারিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন বক্তারা।

জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বহিরাগতদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শান্তি মিছিল আয়োজন করে "শেখ হাসিনাতেই আস্থা" ও "ঘরে ঘরে খবর দে, এক দফার কবর দে" স্লোগানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের পক্ষে উস্কানি দেয়। তারা নিরীহ ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করে এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এর দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং ২৪ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়।

এছাড়াও ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ৪ জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থী (১৫ জনের সনদপত্র বাতিল এবং ৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার), ২ জন শিক্ষক (একজনকে নিম্নপদে অবনমন এবং অন্যজনের পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধি স্থগিত) ও ১ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

এ নিয়ে মোট ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাকৃবির তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, তদন্ত কমিশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসাথে আশরাফুল হক হলের ঘটনার জন্য ও অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

NJ
আরও পড়ুন