নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গাঁজা সেবন করে দুই বন্ধুর ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে দু’জনই পড়ে যায় পুকুরের পানিতে। সেখান থেকে স্থানীয়রা একজনকে উদ্ধারের পর ভেসে ওঠে অন্যজনের মরদেহ। পানিতে ডুবে মৃত তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২) উপজেলার চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ওই গ্রামের কুমোদ মজুমদারের পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকালে তপনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ডালিম চন্দ্র মজুমদার (৪০) নামে অপর গাঁজাসেবীকে আটক করেছে পুলিশ। ডালিম একই গ্রামের ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ডালিম ও তপন দুই বন্ধু প্রায়ই একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতো। স্থানীয় লোকজন মঙ্গলবার রাতে তপন ও তার বন্ধু ডালিমকে একই সাথে পুকুর পাড়ে যেতে দেখে। ওই পুকুর পাড়ে গাঁজা সেবন করার কিছুক্ষণ পর উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে দু’জনই পুকুরের পানিতে পড়ে যায়।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় ডেকোরেটর মিস্ত্রি মো. মনসুর ও অটোরিকশা চালক নারায়ণ মজুমদার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তারা পুকুর থেকে ডালিমকে উদ্ধার করে। কিন্তু খোজাঁখুজি করেও তপনকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। সন্ধানের এক পর্যায়ে তপনের মরদেহ পুকুরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়েছে। সেও অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।
