ঢাকা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দায়িত্ব দখলের অভিযোগ

আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব একটি সুযোগ সন্ধানী চক্রের দখলে রয়েছে। মব সৃষ্টির মাধ্যমে সহিংসভাবে দখল নেওয়ার পর তারা ক্লাবের সম্পদ ও নিয়মিত আয় থেকে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে প্রেসক্লাবের নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় এক বছর ধরে সদস্যরা দখলদারদের বর্জন করে ক্লাবে যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকার ও প্রশাসন পরিস্থিতি সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। 

অথচ চট্টগ্রামে সুশৃঙ্খল রাজনীতি, প্রশাসন, সমাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গত বছরের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের নেতৃত্বে গঠিত কথিত ও অবৈধ অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক অপসাংবাদিককে অবৈধভাবে সদস্যপদ প্রদান করেছে। 

একইভাবে অবৈধ উপায়ে স্থায়ী সদস্যদের অনেককে বহিস্কারের মতো স্পর্ধাও দেখিয়েছে। এসব অপকর্ম ডিসি এবং কথিত অন্তর্বর্তী কমিটির কথিত সদস্য সচিবের স্বাক্ষরেই হয়েছে। এ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর ডিসি ফরিদা খানম গত ৩১ জুলাই নিজে থেকে পদ ছাড়েন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির দাবি, প্রেসক্লাব নিয়ে ডিসির সব ধরনের হস্তক্ষেপ ছিল আইনবহির্ভূত। কারণ প্রেসক্লাব কোনো সরকারি অনুদাননির্ভর প্রতিষ্ঠান নয়। এটি সাংবাদিকদের মালিকানাধীন বেসরকারি ক্লাব। দেশের কোনো আদালতের নির্দেশ ছাড়া এ ক্লাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে কারও হস্তক্ষেপের অবকাশ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিসির পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী কমিটির অবশিষ্ট অংশ ক্লাবের জায়গা ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা গ্রহণযোগ্য ও আইনসম্মত নয়। এতে যুক্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে।

তারা বলেন, যদি কেউ এসবের সঙ্গে জড়ান, তাহলে ভবিষ্যতে এর দায়দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দায়িত্ব নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

NJ
আরও পড়ুন