ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির বর্ধিত গেট পাস ফি স্থগিত

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে পণ্যবাহী গাড়ির বর্ধিত গেট পাস ফি নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার সাময়িক অবসান ঘটেছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদের মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ট্যারিফ শিডিউলে যানবাহনের জন্য নির্ধারিত বর্ধিত ফি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পুরনো হারেই গেট পাস সংগ্রহ করা যাবে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান, শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে ওমর ফারুক বলেন, ‘সরকারি অনুমোদনক্রমে নতুন ট্যারিফ শিডিউলের গেজেট জারি করা হয়েছিল। এটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তন বা বাতিল করার এখতিয়ার বন্দর প্রশাসনের নেই। কিন্তু দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার গুরুত্ব বিবেচনা করে বন্দর চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আমরা সর্বতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শুধু পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত থাকবে।’

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বন্দর বোর্ড একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান আসবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বন্দরে অপেক্ষমাণ প্রায় ৬ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি পুনরায় পণ্য পরিবহন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বলেন, ‘বন্দর চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বর্ধিত ২৩০ টাকার পরিবর্তে আমরা আগের মতো ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিয়েই গেট পাস সংগ্রহ করতে পারব। এই আশ্বাস পাওয়ায় আমরা আমাদের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তবে, একজন পরিবহন শ্রমিক নেতা জানান, যেহেতু বর্ধিত ফি কার্যকরের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল, তাই স্থগিতের আদেশও লিখিত আকারে পেলে তারা সম্পূর্ণভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন।

উল্লেখ্য, বন্দরের নতুন ট্যারিফ শিডিউলে পণ্যবাহী গাড়ির গেট পাস ফি ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়। এর প্রতিবাদে গত ১৪ অক্টোবর রাত থেকে প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার মালিক-শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতি এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাও চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের আজকের সিদ্ধান্তের পর সেই অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো।

NB/FJ
আরও পড়ুন