ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জুবায়েরপন্থীদের হামলায় একাধিক সাথী নিহত হয়েছে, দাবি সাদপন্থীদের

রাত ২টার পর জুবায়ের অনুসারিরা মশাল হাতে নিয়ে আমাদের সাথীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর জুবায়েরপন্থীরা ময়দান ছেড়ে গেলে আমাদের সাথীরা ময়দানে প্রবেশ করেন।

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

জুবায়ের অনুসা‌রি‌দের উস্কানিতে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছে সাদপন্থীরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ইজতেমা ময়দানে সাংবাদিক সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তাবলিগের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী মাওলানা মুয়াজ বিন নূর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

সম্মেলনে নূর বলেন, সারাদেশ থেকে আমাদের সাথীরা ইজতেমা ময়দানের তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেন। রাত ২টার পর জুবায়ের অনুসারিরা মশাল হাতে নিয়ে আমাদের সাথীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর জুবায়েরপন্থীরা ময়দান ছেড়ে গেলে আমাদের সাথীরা ময়দানে প্রবেশ করেন। বর্তমানে আমাদের এক লাখ সাথী ময়দানে আছে এবং ময়দানের পুরো নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে রয়েছে। সংঘর্ষে হতাহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সঠিক সংখ্যা বলতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, সরকার আমাদেরকে দিয়াবাড়ি মাঠে জোড় ইজতেমা করতে বলেছিল। আমরা সেখানে করতে পারব না কারণ লোকসমাগম সংকুলান হবে না। তাই আজ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ছিল। এই আলোচনায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ময়দানে আসতাম। কিন্তু গতরাতে জুবায়েরপন্থীদের উস্কানিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে ময়দান আমাদের কাছে চলে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোসায়েম, সাদ অনুসা‌রি মি‌ডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েমসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে টঙ্গী‌তে জোর ইজতেমাকে কেন্দ্র ক‌রে মাওলানা‌ জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্দল‌ভি অনুসা‌রিদের ম‌ধ্যে সংঘ‌র্ষের ঘটনা ঘ‌টে। শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশসহ সব বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

 

 

 

RA
আরও পড়ুন