গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ তরিকুল ইসলামকে শ্রীনগর থানা থেকে ছিনিয়ে নিল যুবদলের নেতারা। তরিকুল ইসলাম উপজেলা যুবদলের সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত দশটায় দিকে। এঘটনায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায় ,সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রীনগর থানার মামলা নং ১৭(১১)২৪,তাং: ১৯/১১/২০২৪ ইং, ধারা-১৪৩/৪৪১/৩২৬/৩০৭/ ৩২৫/৩২৩/৩৪ পেনাল কোড এর এজাহার নামীয় আসামী মো: তরিকুল ইসলাম (৪০), পিতা- আব্দুল মান্নান ব্যাপারী, সাং- পশ্চিম দেউলভোগ, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ কে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা থানায় এসে আসামী মোঃ তরিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ওসিকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। ওসি আসামি ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় থানা ঘেরাও করে থানা প্রাঙ্গনে মিছিল করে যুবদল ও ছাত্রদলের ১০০/১৫০ নেতা কর্মী।
সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গ্রুপের অনুসারী যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে রাত শোয়া ১০ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গ্রুপের সমর্থক শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমনসহ প্রায় ১০০-১৫০ লোক থানায় আক্রমণ করে আসামী মোঃ তরিকুল ইসলামকে থানার ভিতর ওসি (অপারেশনের)রুম থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে ধাক্কা ও কিল ঘুসি মেরে তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে ১০ পুলিশ আহত হয়। এর আগে তারা থানা প্রাঙ্গনে মিছিলও করে।
এসব তথ্য দিয়ে শ্রীনগর থানার ওসি জানান, এঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আহত করেছে। আসামি ছিনতাই করার অপরাধে শ্রীনগর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি মধ্যরাতে জানান। এর আগে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান রাত আটটার দিকে এসে তরিকুলকে কী কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জেনে চলে যান বলেও তিনি জানান।
