শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে স্পিডবোটে সশস্ত্র অবস্থায় এসে বালুবাহী জাহাজে ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন সন্দেহভাজন দুই ডাকাত। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অপর পাঁচজন। এ সময় ডাকাতদলের এলোপাথাড়ি গুলিতে, আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া করে এলাকাবাসী। এ সময় কীর্তিনাশা নদীতে স্পিডবোট নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাদল। শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে।
এ সময় এলোপাথারি গুলি ও হাতবোমা ছোড়ে ডাকাতরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চারজন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একাধিক ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের আবারও ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। পরে কীর্তিনাশা নদীর শরীয়তপুরের তেঁতুলয়িা এলাকায় গতিরোধ করে তাদের আটকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সাত ডাকাতকে উদ্ধার করে, পরে ভর্তি করা হয় শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় দুইজন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
