ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মাদক ও ঋণের টাকা জোগাড় করতেই ডাকাতি-হত্যা

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ এএম

গোপালগঞ্জে আলোচিত হত্যা এবং ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেশার টাকা এবং ঋণ পরিশোধের টাকা জোগাড় করতেই আসামিরা খুন ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। 

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, কোটালীপাড়ায় আলোচিত ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ২৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার চৌরখালী গ্রামের সামিউল শেখ, পার্শ্ববর্তী বংকুড়া গ্রামের মোরশেদ আলম ওরফে কামাল ও একই গ্রামের শওকত আলী ভূইয়া।

গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড় গ্রামের দন্ত্যচিকিৎসক পল মজুমদারের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় পল মজুমদারের ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত পা বেঁধে হত্যা করে রেখে যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় ওইদিনই পল মজুমদার বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী পল মজুমদার ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিলেন। এই খবর গ্রেপ্তারকৃতরা জেনে যায়। ঘটনার দিন পল মজুমদার ও তার স্ত্রী তাদের কর্মস্থলে গেলে দুপুরের দিকে আসামিরা পাঁচজনে মিলে প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে লুট করার সময় পল মজুমদারের ছেলে দেখে ফেলায় তাকে প্রথম হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে লোক জানাজানি হয়ে যাবে এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এসময় ঘর থেকে তারা ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এই ঘটনার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য অভিযানে নামে। ঘটনার পরদিন ১২ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের খান মার্কেট এলাকা থেকে মোর্শেদ আলম ওরফে কামালকে গ্রেপ্তার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে এই ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি সামিউল শেখকে বাগেরহাটের কচুয়া থানার কামারগাতী এলাকা থেকে ও আরেক আসামি শওকত আলী ভুঁইয়াকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আসামিরা জানিয়েছেন তারা কেউ মাদকাসক্ত আবার কেউ ঋণগ্রস্ত। মাদক ও ঋণের টাকা জোগাড় করতেই তারা এই ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাতিকালে ঘর থেকে নগদ ১ লাখ ৯ হাজার টাকা ছাড়াও একটি রুপার চেইন তারা লুট করেছে। ঘটনার সময় আসামিরা ৫ জন ছিলেন বলে তারা স্বীকার করেছে। আমরা এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য ১১ মার্চ দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার লাখিরপাড় গ্রামের দন্ত্যচিকিৎসক পল মজুমদার ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের নার্স অনিতা বৈদ্য প্রতিদিনের মতো তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে চলে যায়। এ সময় এই দম্পতির একমাত্র ছেলে পিয়াস মজুমদার বাড়িতে ছিল। এ সুযোগে পিয়াসকে খুন করে ডাকাতরা বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

MMS
আরও পড়ুন