ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

অশালীন আচরণের অভিযোগ প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা

আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ০৩:২০ এএম

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে আব্দুল জব্বার নামে এক প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আকাশি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল জব্বার ওই বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, গত বছর এপ্রিল মাসে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই বহিরাগত বিক্ষুব্ধ একদল নারী তার কক্ষে প্রবেশ করে তার ওপর আক্রমণ চালিয়ে জুতাপেটা করাসহ লাঞ্ছিত করে। 

এসময় সহকারী শিক্ষিকা সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন আক্রমণকারীরা। প্রধান শিক্ষকের বিচার ও শাস্তি দাবি করা হয়।

হামলায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ অভিভাবক জাহিন, সুমি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় আমাদের মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছে। তাই তার বিচার ও শাস্তির দাবি করছি।

সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়ে ছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। একপর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।

এরপর খবর পেয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এসম তিনি বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত করে বলেন, তদন্তে সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বুঝানো হয়েছে। কথা না শুনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সে ভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের আহবান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতিভাবে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

MMS
আরও পড়ুন