মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জুলাই শহীদদের সনদ দেওয়া সম্ভব কিন্তু জুলাই যোদ্ধাদের সংখ্যা অনেক বেশি তাই জুলাই যোদ্ধাদের সনদ দেওয়া কিছুটা কঠিন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শিক্ষার্থী নাফিসা হোসেন মারওয়ার বাড়িতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি এক বছর হলো। এতদিনেও শহীদ পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছাতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, আমরা নাকি সময়মতো পৌঁছাই না। কিন্তু তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেরি হলেও আমরা সবার কাছে পৌঁছাতে চাই। শহীদ নাফিসার বাবা যে অনুদান পাওয়ার কথা, তা তিনি পেয়েছেন। এখানে আরেকজন শহীদের বাবাও অনুদান পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেও জুলাই মাসের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। সেই লড়াই সহজ ছিল না। এখন ‘জুলাই কন্যা’ ও শহীদদের পরিবারের দাবি সনদের এই দাবি যথার্থ। তবে আমরা যাচাই-বাছাই করে চেষ্টা করছি সঠিকভাবে সনদ প্রদানে।
নিহত নাফিসার বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমি বেঁচে থাকতে আমার মেয়ের হত্যার ন্যায়বিচার দেখে যেতে চাই। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এই প্রত্যাশা করি।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন নাফিসা হোসেন মারওয়া। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাকে ‘জুলাই কন্যা’ নামে ডাকতেন। তার মৃত্যুতে আন্দোলন আরও উত্তাল হয়ে ওঠে এবং সেই থেকে শহীদ নাফিসা হয়ে ওঠেন একটি প্রতীকের নাম।
