ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে

গতিসীমা মানছে না বেশিরভাগ যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা

আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২:২১ পিএম

পদ্মাসেতু হয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল যানবাহনের। তবে দূরপাল্লার পরিবহণ, প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেল সুযোগ পেলেই ছাড়িয়ে যায় নির্ধারিত গতি! ফলে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানি এবং হতাহতের মতো দুর্ঘটনা। গত দুই বছরে অর্ধশত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন শতাধিক মানুষ।

জানা গেছে, পদ্মাসেতু পার হয়ে শরিয়তপুরের জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে কালকিনির ভুরঘাটা পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার অংশ মাদারীপুর সড়ক বিভাগের অধীনে। পদ্মাসেতু চালুর পর থেকে এই রুটে পরিবহনের ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ। এই সড়কেই রয়েছে ৪ টি হাইওয়ে থানা। অথচ, কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা।

এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচর অংশে গত কয়েক মাসে পরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহণ চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। পদ্মাসেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনা।

শিবচর হাইওয়ে থানা ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে বড় দুর্ঘটনার মধ্যে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ মহাসড়কের শিবচরের কুতুবপুরে ইমাদ পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যায় ১৯ জন। ওই বছরের ২৪ জুন মালিগ্রামে অ্যাম্বুলেন্সের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়।

২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সূর্য্যনগরে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে মারা যায় ৪ জন এবং ২০ মার্চ ডোমরাকান্দিতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন মারা যায়। এছাড়াও চলতি বছর মহাসড়কের শিবচর, পাঁচ্চর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ১ ডজনেরও বেশি তরুণ!

এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের বন্দরখোলা এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, বেশির ভাগ যানবাহনই ওভার স্পিডে চলে। তাছাড়া মোটরসাইকেলের যেন প্রতিযোগিতা হয় এখানে। কিছুদিন আগেও এক সাথে ৮/১০ টি মোটরসাইকেল অ্যাকসিডেন্ট করে। একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়! তাছাড়া, প্রায়ই মারা যাচ্ছে দুর্ঘটনায়।

ট্রাক চালক মো.মতিউর বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। তাছাড়া মোটরসাইকেলগুলো সবচেয়ে বেশি অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চলে। নিয়ম মেনে না চললে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, গতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিদিনই মামলা দিচ্ছি। চালকদের সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া পথচারীও রাস্তা পার হতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। চালক ও পথচারী আরও বেশি সচেতন হলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতো।

DR/AHA
আরও পড়ুন