ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কিশোর নিহত

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত তোফাজ্জল হোসেন আনন্দ (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
 
নিহত আনন্দ পৌর শহরের গাছতলাঘাট এলাকার ভাড়াটিয়া। সে ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের ছাগাইয়া গ্রামের উল্লাস বেপারি বাড়ির মো. আবু তাহের মিয়ার ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন পাদুকা ব্যবসায়ী।  
 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকালে রাতে পৌর শহরের আলিম সরকারের বাড়ির রুজেনের লোকজন ও আড়াই বেপারির বাড়ির ভুবন মিয়ার লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তোফাজ্জল হোসেন আনন্দ নামের এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারা পরিবার স্বজন হত্যার বিচার দাবি করেন। 
 
নিহত কিশোর আনন্দের ভগ্নিপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার শালা আনন্দ তার বন্ধুদের সাথে ভৈরব বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্জয় মোড় এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময়ে মাথায় ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় আসার পর অতিরিক্ত বমি করায় তাকে দ্রুত বাজিতপুর জহরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়েছে। 
 
নিহত কিশোরের ফুফাতো ভাই মুরছালিন বলেন, আমার ভাই তো কারো পক্ষে হয়ে ঝগড়া করতে যায়নি। কেন আমার নিরীহ ভাই এভাবে আহত হয়ে মারা গেলো, তার জবাব চাই প্রশাসনের কাছে। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেন।  
 
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রোহানী জানান, শুক্রবার রাতে শহরের ভূবন ও রুজেন নামের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আনন্দ নামের এক কিশোরের ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। 
 
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আলিম সরকারের বাড়ির লোকজনকে আড়াই বেপারির বাড়ির ভুবন মিয়ার লোকজন মারধর করে। এর জেরে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশকিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
 
 
পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
NJ
আরও পড়ুন