গাজীপুর সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক বিধবা নারী ও তার ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার বি.কে. বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সেলিনা আক্তার (৪৮) এদিন রাতেই জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত সেলিনা আক্তার মৃত ইব্রাহিম সিকদারের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেলিনার জমিতে প্রবেশ করে সিমেন্টের পিলার বসাতে থাকে। এ সময় বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিনা আক্তারকে বেধড়ক মারধর করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- স্থানীয় শহিদুল্লাহ (৫৫) ও তার ছেলে নাজমুল আলম ওরফে নয়ন (৩৫)। এছাড়া মৃত আব্দুল সাত্তার মাস্টারের দুই ছেলে সিরাজুল হক (৫৪) ও আজিজুল হকসহ (৫২) আরও ৫–৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
অভিযোগে সেলিনা আক্তার আরও জানান, হামলার সময় নাজমুল আলম নয়ন তার পায়ে দাঁ দিয়ে কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছেলে শামীমের (২৬) ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে মা-ছেলে উভয়েই গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সেলিনার পরিবারের লোকজনই আমার ছোট ভাই সিরাজুল হককে মারধর করে আহত করেছে। এখন সে হাসপাতালে ভর্তি।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪১ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক, সাংবাদিকদের হাতুড়ি পেটা