ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সোনারগাঁওয়ে সড়কে ড্রেজারের পাইপ, ভোগান্তি চরমে

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০০ পিএম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সড়কে বিভিন্ন স্থানে বালু ফেলার পাইপ দেওয়ায় ৫ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জনসাধারণের চলার পথে বাড়ছে ভোগান্তি, ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর এমন ভোগান্তি থাকলেও প্রশাসনের নিরবতায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সরেজিমনে ঘুড়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের বাঁরগাও থেকে কাজীপাড়াসহ বিভিন্ন রাস্তা কেটে ড্রেজার মালিক রিপন খান ও কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মশিউর রহমানের মালিকানাধীন ড্রেজারের পাইপ বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প ও নিজস্ব জমিতে বালু ভরাটের জন্য প্রায় শতাধিক স্থানে বসানো হয়েছে। রাতের আধাঁরে রাস্তার বুকে আচঁড় কাটছে ড্রেজারের পাইপ। কোথাও রাস্তা খুড়েঁ, কোথাও রাস্তার উপরে ৩ থেকে ৪ ফুট উচুঁ করে মাটি ফেলে, আবার কোথাও রাস্তার নিচে ৫ থেকে ৭ ফুট ভিতরে ড্রেন করে এসব ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে। কোথাও ১টি, কোথাও ২ থেকে ৩ টি পাইপ একসাথেই বসানো হয়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে বালুর ড্রেজারের পাইপ বসানো কারণে মাইক্রো, প্রাইভেটকার, রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আবার সড়কে ড্রেজারের পাইপ বসানোয় মালবাহী বা ভারী যানবাহন চলাচলের সময় রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে সড়কের গুরুত্বপুর্ণ অংশ। বছরের পর বছর এমন চিত্র দেখে দেখে ড্রেজারের পাইপ-ই এখন এলাকাবাসীর গলার কাটা।

জানা যায়, কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশয় ও নিয়ন্ত্রনেই কাঁচপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া-বাঁরগাও-চৌরাপাড়া এলাকায়সহ প্রতিটি এলাকায় প্রতি কিলোমিটার রাস্তাতেই বসানো হয়েছে ৫ থেকে ৬টি ড্রেজারের পাইপ। এতে একদিকে গ্রামীণ উন্নয়ন কাজ যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি গ্রামীণ অবকাঠামো, গ্রামীন কাচাঁপাকা রাস্তা বিলীন হচ্ছে ড্রেজারের পাইপের নিচে পড়ে।

কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর ধরে এই সড়কে ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে এটা সরানো হয়নি। ৫ আগস্টের পালা বদলের পর শুধু বদল হয়েছে হাত। এ ছাড়া কিছুই নয়। প্রায় এ সড়কে অটোরিকশা উল্টে যায়। কাজীপাড়া ডুকতে সড়কে সরু জায়গায় বসানো হয়েছে একটি পাইপ। তাই ওই সড়কে গাড়ি চলাচল করে না। এতে করে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মালামাল আনা নেওয়া করতে হলে বিকল্প সড়কে হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেকবার জানানো হয়েছে কিন্তু তারা সরায়নি। কারণ তাদের হাত অনেক লম্বা। প্রশাসনও নীরব ভূমিকায়। 

চৌরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনেই সড়কে বসানো হয়েছে পাইপ। এই পাইপের কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাচ্চাদের। আসলে কি বলবো আমাদের দেশের ক্ষমতাবাদের হাত বদলায় কিন্তু সিস্টেম বদলায় না। এর জন্যই আমরা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সারাজীবনের কিছু করার নাই আমাদের। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কে পাইপ দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু ফেলার বিষয় ইউএনও স্যার দেখেন। স্যারের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

LH/MMS
আরও পড়ুন