ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেকারত্ব ঘোচাতে সাতক্ষীরায় কুল চাষে ঝুঁকছেন যুবকরা

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম

চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৮৪১ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৭৮৯ হেক্টর। অর্থাৎ এক বছরে জমির পরিমাণ বেড়েছে ৫২ হেক্টর। স্বল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়ার আশায় বেকার যুবক ও চাষিদের অনেকেই এখন কুল চাষে ঝুঁকছেন।

সাতক্ষীরা জেলায় বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, থাই আপেল, বাউ কুল, আপেল কুল, তাইওয়ান কুল, নারিকেলি ও নাইনটি জাতের কুল চাষ হচ্ছে।

চাষি নগর ঘাটা গ্রামের তুহিন বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় কুল চাষে ঝুঁকি কম, খরচও কম এবং বাজার মূল্য ভালো। সাতক্ষীরার দোঁয়াশ মাটি ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া কুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় অনাবাদি অনেক জমিও এই চাষে ব্যবহার হচ্ছে। প্রয়োজন শুধু সরকারি সহায়তা, পেলেই কুল চাষে আগ্রহ বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। 

কৃষক ওমর ফারুক জানান, সাতক্ষীরা কুলের স্বাদ অসাধারণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে সাতক্ষীরার এ সুস্বাদু কুল।    

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি কুল চাষ হয়েছে কলারোয়া উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর জমিতে। এরপর তালা উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১১২ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৪৫ হেক্টর, শ্যামনগরে ২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ২০ হেক্টর ও দেবহাটায় ৪ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে সাতক্ষীরার কুল। অনেকে রপ্তানির সম্ভাবনাও দেখছেন।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, চাষিদের আগ্রহ বাড়ায় আমরা প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কুল চাষে উৎপাদন ও আয় বাড়ছে। এতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

আরও পড়ুন