কৃষিনির্ভর জেলা সাতক্ষীরা। কুল, আম, ওল বাগদা চিংড়ি ও মিষ্টির জন্য প্রসিদ্ধ এই জেলা। বর্তমানে মাল্টা চাষেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করছে।
চলতি বছরে জেলায় মোট ১১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাল্টা চাষ হয়েছে কলারোয়া উপজেলায়, যেখানে ৪০ হেক্টর জমিতে এই ফলের আবাদ হয়েছে। মাল্টা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর ১৩৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। তবে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ বেশি হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫ মেট্রিকটন, যার বাজার মূল্য ৮ কোটি টাকা। বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে মালটা একটি লাভজনক ফসল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
জেলার মাটি ও আবহাওয়া কিছুটা লবনাক্ত হওয়ায় সাতক্ষীরা অঞ্চলের মাল্টা খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে। কম খরচে মাল্টা চাষ করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন।
জেলার ৭টি উপজেলায় মাল্টা চাষ হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলায়। মাল্টা চাষের কারণে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে। দিন দিন চাষিদের মাল্টা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৮ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ বেশি হয়েছে। মাল্টা চাষের সুবিধার মধ্যে আন্তঃফসল হিসেবে পেয়ারা, ওলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা যায়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এই বছর আমি মাত্র ৫বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। আশানুরূপ ফল পাচ্ছি। আগামীতে আমি আরো বেশি করে মাল্টা চাষ করব। এতে কম খরচে লাভ বেশি।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ফল হিসেবে মাল্টা শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। ফলে বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। জেলার কৃষকদের মাঝে বিদেশি ফলের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পাশাপাশি কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন তারা। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে মাল্টা চাষে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় ‘বাংলাদেশের অ্যামাজন’