ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জেলগেটে আবারও গ্রেপ্তার সাবেক এমপি মিজান

আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরে ২০১৮ সালের একটি চাঁদাবাজির মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তাকে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আনিসুর রহমানের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি খুলনা সদর থানাধীন রয়েল মোড়ে ফ্যাশান জোন বাই লিন্ডা নামক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন, ভাঙচুর, লুটপাট ও ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৮ মার্চ খুলনা থানায় মামলা দায়ের হয়।

এই মামলায় মিজানুর রহমান মিজান সন্দিগ্ধ আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে খুলনা সদরসহ বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলায় তাকে আটকাদেশের আবেদন করে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবেদন গ্রহণ করে মিজানুর রহমান মিজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে জামিন পাওয়ার পর জেলগেট থেকে বারবার গ্রেপ্তার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিজানের পরিবার। মিজানের ছোট বোন অ্যাডভোকেট সুলতানা রহমান শিল্পী বলেন, ‘আমার ভাই অপরাধী হলে আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হোক। কিন্তু একের পর এক মামলায় জামিন হওয়ার পর জেলগেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নতুন নতুন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। আমার ভাই অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু একাধিক মামলায় জামিন পেয়েও তিনি বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেওয়া হচ্ছে, তার একটিতেও তিনি এজাহারনামীয় আসামি নন। কিন্তু প্রতিটি মামলাতেই তাঁকে সন্দিগ্ধ আসামি করা হচ্ছে; যা দুঃখজনক।’

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

তার বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৮ জুলাই এক দফা দাবির আন্দোলন চলাকালীন মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায় তাঁকে ২৯ মে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এসব মামলায় জামিন পেয়ে বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

MMS
আরও পড়ুন