খুলনার কয়রায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তরিকুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কয়রা সদরের ১নং কয়রা গ্রামে জামায়াতের সদরের আমির মিজানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরিকুল শ্যামনাগরের ১২নং গাবুরা ইউনিয়নের মধ্যম খসিয়া বুনিয়া এলাকার মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি কয়রা সদরের জামায়াতের আমির মিজানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি কয়রা বাজারের চায়ের দোকানদার ছিলেন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এর ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা আগে তরিকুলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। ঘটনার সময় তরিকুল ও বাড়ির মালিকের পরিবারের কেউ ছিলেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
দাফনের দেড় মাস পর কবর থেকে ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলনস্থানীয়রা জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। যেভাবে গলায় ফাঁস লাগানো, এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না৷ গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহের পা মাটিতে পড়ে ছিল। যদি তিনি নিজে গলায় ফাঁস দিতেন, তাহলে পা মাটি থেকে উপরে থাকতো৷ কেউ হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
মরদেহের শরীরে ও মাথার কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক কয়রা সদরের জামায়াতের আমির মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
মাটির ঘর ধসে বৃদ্ধের মৃত্যু, ২ দিন পর মরদেহ উদ্ধারকয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা- সেই রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। তরিকুলের স্ত্রীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিম কর্মকর্তা।
