নেত্রকোনার পৃথক স্থানে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এবং দিবাগত রাত ১টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার দাপুনিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কলমাকান্দার গোবিন্দপুর গ্রামের আদিবাসী পুলিনুজ দারিং (৪৫) ও পূর্বধলার দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাকন আহমেদ (২৮)।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কলমাকান্দার গোবিন্দপুর গ্রামের পুলিনুজ দারিং স্থানীয় বলবাঠ বাজারে চায়ের দোকান করতেন। তিনি একই গ্রামের আইয়ুব মারাকের কাছে বাকি বাবদ কিছু টাকা পেতেন। সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিনুজ দারিং তার দেনাদার আইয়ুব মারাককে তার পাওনা টাকার তাগিদ দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আইয়ুব মারাক পুলিনজু দারিংকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশ সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আইয়ুব মারাককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে পূর্বধলার দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে কাকন আহমেদ গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে দাপুনিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পুলিনুজ দারিংয়ের এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কাকন আহমেদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নেমে কিশোর নিখোঁজ