ঢাকা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শীত নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম

দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট সুস্পষ্ট হলেও অন্যান্য এলাকায় এখনও পুরোপুরি নামেনি তীব্রতা। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। যা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে এ মৌসুমের সবচেয়ে শীতল পর্ব হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শীত ধীরে ধীরে বাড়ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রকৃতির ক্যালেন্ডারে শীতের আগমনী সুর শুরু হলেও হিমালয়ের কোল ঘেঁষা জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা জেঁকে বসেছে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে হিমেল বাতাসে সড়কে মানুষের চলাচল কম থাকায় রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা।

শৈত্যপ্রবাহের চাপ সবচেয়ে বেশি পড়বে উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলো, যার মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকা।

কুয়াশা এতটাই ঘন যে, তা বিমান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সকালে বেশিরভাগ ফ্লাইট অন্তত আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে বা অবতরণ করেছে, ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার হলেই ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রাজধানী ঢাকায় শীতের আমেজ এখনো ততটা তীব্র না হলেও দিনের বেলায় উষ্ণতা ধরে রাখছে রোদের তাপ। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়টিই হবে এ মৌসুমের সবচেয়ে শীতল পর্ব। এই সময়ে দেশের বড় অংশ মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ এখনও বাংলাদেশের উপকূল থেকে দূরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। সমুদ্রে উত্তাল অবস্থার কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে সমুদ্রের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল না থাকায় বছরের বাকি সময় উপকূলে নতুন ঝড়ের সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় কৃষকরা স্বস্তিতে আছেন। আলু, ভুট্টা, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ শীতকালীন শস্যের রোপণ ইতোমধ্যে গতি পেয়েছে।

NB/FJ
আরও পড়ুন