ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শ্রীবরদীতে গোলাপি পদ্মের বৈশাবিল

আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১০ পিএম

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বৈশাবিল যেন রূপ নিয়েছে এক অনন্য সৌন্দর্যের রাজ্যে। গোলাপি রঙের পদ্মফুলে ছেয়ে গেছে পুরো বিল। জলাভূমিতে প্রস্ফুটিত ফুলগুলো এখন সৌন্দর্যের অপার মোহ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে। এ দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন নানা বয়সের দর্শনার্থীরা।

বৈশাবিলটি শেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে। বছরের প্রায় ৮ থেকে ১০ মাসই এই বিলে পানি থাকে। তবে এবারই প্রথম পুরো বিলে একসঙ্গে ফুটেছে অসংখ্য গোলাপি পদ্মফুল, যা দূর থেকে দেখতে একেবারে 'পদ্মবিল'-এর মতো মনে হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিলের শান্ত পানির বুকে প্রস্ফুটিত পদ্মফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতি প্রেমীরা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ আবার ছোট নৌকায় ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন এই অপরূপ দৃশ্য।


স্থানীয়দের মতে, গত ৪/৫ বছর ধরে অল্পস্বল্প পদ্মফুল ফুটলেও এবারের মতো একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যায় ফুল ফোটা আগে দেখা যায়নি। সাধারণত বর্ষাকালেই এ ফুল ফোটে এবং সারাবছর থাকে না। আগে নানা বিল ও জলাশয়ে পদ্মফুল দেখা গেলেও বর্তমানে জলাভূমি ভরাটের কারণে এমন দৃশ্য আর সচরাচর চোখে পড়ে না। তাই এ বছর বৈশা বিলে পদ্মফুলের এই সমারোহ যেন এক নতুন সম্ভাবনা ও আনন্দের উৎস হয়ে উঠেছে।

এদিকে, বিলের পানিতে শিশুদের শাপলা-পদ্ম তুলতে দেখা যায়, তাদের উচ্ছ্বাসে যোগ হয়েছে নতুন রঙ। স্থানীয় বাসিন্দারাও আনন্দিত এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে, যা একদিকে যেমন পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি করছে, তেমনি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বও নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।


শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, "এক সময় আমাদের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিলজুড়ে পদ্মফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখা যেত। তবে সময়ের পরিবর্তনে এবং বিল ও জলাশয় ভরাটের ফলে এখন আর সেভাবে পদ্মফুল চোখে পড়ে না।

অনেকেই বলছেন, এই নয়নাভিরাম ফুল যেন আজ বিলুপ্তির পথে। তাই বৈশাবিলে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাস্তা সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যেন মানুষ আবার প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।"

NJ
আরও পড়ুন