শেরপুর ডাকঘরে জাল টাকার ছড়াছড়ি, গ্রেপ্তার ২

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

শেরপুরে জাল টাকা কাণ্ডে পোস্ট অফিসের ২ কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় আরও কয়েকজন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও পোস্ট অফিসের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। মানিক মিয়াকে গত ১৬ অক্টোরব ও হাফিজুর রহামনকে ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর নারী শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুণে নেওয়ার সময় দেখতে পান ওই কাটায় ৫৩টি এক হাজার টাকার জাল নোট।

এদিকে গত ৯ অক্টোবর দুপুরে শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান।সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা নেওয়ার সময় ২৫টি এক হাজার টাকার জাল নোট ধরা পড়ে।

ভুক্তভোগী ২ গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করে ছিলেন। তারপর থেকে ব্যাপারটি প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসে। সরকারের অন্তত ৩টি বিভাগ জাল টাকার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

কোর্ট ইন্সপেক্টর জিয়া বলেন, মানিক মিয়া ও হাফিজুর রহমান ২ জনকেই আজ আদালতে উঠানো হয়। জাল টাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হাফিজুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং মানিক মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ অক্টোবর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জোবাইদুল আলম বলেছেন, বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

NJ