শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাছগড়া গ্রামে সাব-মার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য বোরিং করতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে গ্যাস বেরিয়ে আসছে। সেই গ্যাসে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে। বর্তমানে স্থানীয়রা সেই গ্যাসেই আগুন জ্বালিয়ে রান্না করছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় কৃষক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে প্রায় ১২ দিন আগে পানীয় জলের জন্য বোরিং করা হয়। কিন্তু মাত্র ৪০ ফুট গভীরে নামতেই পানির পরিবর্তে বুদবুদ শব্দে বেরিয়ে আসে গ্যাস।
বোরিং মিস্ত্রী জহিরুল ও বিল্লাল বলেন, আমরা বহু বছর ধরে বোরিংয়ের কাজ করি। কিন্তু এমন চাপের গ্যাস কখনও দেখিনি। পাইপ কয়েকবার উঠে আসতে বাধ্য হয়। ৩ বার ব্যর্থ হওয়ার পর চতুর্থ স্থানে গিয়ে সাবমার্সিবল বসাতে হয়।
এরপর নূর মোহাম্মদ কৌতূহলবশত গর্তের বুদবুদের ওপর আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে ওঠে। সেই থেকে গর্তে ক্রমাগত আগুন জ্বলছে। প্রতিদিন সেখানে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষজন।

গ্রামের মহিলারা জানান, এই গ্যাস দিয়েই এখন প্রতিদিন রান্না করি। কাঠ বা গ্যাস সিলিন্ডার লাগছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, এটা কাকতালীয় কিছু নয়। আগেও এই এলাকায় বোরিং দিতে গিয়ে গ্যাস পাওয়া গিয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
স্থায়ী বাসিন্দা কামরুল হাসান কামরুল বলেন, ১২ দিন আগে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার পরও এখনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেননি। আমরা চাই বাপেক্স বা জ্বালানি বিভাগ এসে পরীক্ষা করুক, এখানে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস আছে কি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, গাছগড়া গ্রামে গ্যাসের বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত বাপেক্স বা জ্বালানি বিভাগকে পাঠিয়ে গ্যাসের প্রকৃত মজুদ ও সম্ভাব্যতা যাচাই করা হোক।
