ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম, টাকা ছাড়া মেলে না সেবা!

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
জামালপুরের মাদারগঞ্জে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে ভূমি অফিসে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দালালদের দৌরাত্ম। ভূমি অফিস ঘিরে টাকার বিনিময়ে জমি খারিজ করার অভিযোগ উঠেছে কড়ইচড়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. হানিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
 
টাকা ছাড়া যেন ফাইলই নড়ে না- উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. শাহিন মিয়া।

ভুয়া নামজারি সহজ হওয়ায় একজনের জমি অন্যজন নামজারি করে নিয়ে যাচ্ছে, এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিক- এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীর তথ্য ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের চরগুজামানিকা মৌজায় মো. ছামিউল ইসলাম তার পৈত্রিক সম্পত্তির ৯ শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। গিয়ে জানতে পারেন তার জমির খারিজ করা হয়ে গেছে। খারিজ করে নিয়েছেন মৃত আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, মেয়ে লুৎফুন নেছা ও বিউটি বেগম।

ভুয়া নামজারিটি বাতিলের জন্য রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, ছামিউল ইসলাম ও ফজলুল হক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবেদন করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তার পাশে বসেই কাজ করছেন মহিষবাথান এলাকার মো. সজিব মিয়া নামে এক ছেলে। সে অফিসের কোন স্টাফ না হলেও কম্পিউটারে বসে কাজ করে যাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এই সজীবের মাধ্যমেই দালালদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। এ যেন এক ঘুষের রাজত্বে পরিণত ইউনিয়ন ভূমি অফিস।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. হানিফ উদ্দিন।

শাহিন মিয়া নামে আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুরেছি বিষয়টি নিয়ে। ভূমি কর্মকর্তা আমার সাথে এ বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণ করেছে। এসিল্যান্ড অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি।

মাদারগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাদের আমার কাছে পাঠিয়ে নিন। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।
NJ
আরও পড়ুন