দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৯০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ৩০টি অনুমোদনপত্রের (আইপি) বিপরীতে ৯০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আমদানি প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির এই খবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় খুচরা বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছে। আমদানির খবরে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
সংকটে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, জলাবদ্ধতা ও অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তিচাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক্সপার্ট কিউরার মোহা. শহীদুল ইসলাম দাম কমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে গেছে।’
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জেলার বাজারগুলোতে রকমভেদে নতুন পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজ ১২৫-১৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) আমদানির খবরের পর রকমভেদে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫-৮৫ টাকায় এবং পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১১০-১১৫ টাকা পর্যন্ত।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় ভারতের মোহদীপুর থেকে দুটি ট্রাকে প্রায় ৬০ টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। এর প্রভাবে স্থানীয় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পঞ্চগড়ে তীব্র শীত, ১০ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রাউপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ আরও জানান, এর আগে সর্বশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমদানি পুরোদমে শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম আরো কমে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
