সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিনা নোটিশে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প উচ্ছেদ করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিকরা। পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকার কারণে তেল না পাওয়ায় অনেকটাই বিপাকে পড়েন পেট্রোল পাম্প সহ জ্বালানি নির্ভরশীল বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রতিটি তেল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেন মালিকরা। যার কারণে জেলা শহরের হোসেন পেট্রোল পাম্প, এমদাদ পেট্রোল পাম্প সহ জেলা শহরের ৩২টি পেট্রোল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। জ্বালানি তেলের পাম্প বন্ধ থাকায় যানবাহন চালকেরা ও মোটরসাইকেল চালকেরা তেল নিতে এসে পাম্প থেকে হতাশ হয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল নিতে আসা আতিকুল ইসলাম বলেন, পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে এসে দেখি তেল দিচ্ছে না। কোনো ঘোষণা ছাড়াই পাম্পগুলো বন্ধ করে দিয়েছে মালিকরা। এখন কোথায় তেল পাবো? মোটরসাইকেল নিয়ে দূরে যেতে হবে কাজে। এখন আশেপাশের খোলা তেল নিয়ে কাজে যেতে হবে।
অপর মোটরসাইকেল চালক সুমন আলী বলেন, মোটরসাইকেলে একেবারে তেল নেই। তাই তেল নিতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। গাড়িতে তেল নেই, তাই ঠেলে নিয়ে আবারও বাসায় ফিরতে হবে।
পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা গাড়ি চালক খালেক আলী বলেন, সারাদিন কর্মের প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। সকালে পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে এলে বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাম্প বন্ধ রয়েছে। এরকম চলতে থাকলে আমরা কিভাবে চলাচল করবো। তেল না পাওয়ায় আমাদের চরম ভোগান্তিতে পাড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন করার কোনো মানে হয় না।
মেসার্স এমদাদুল হক এ্যান্ড সন্স ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তেল পাম্প বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকবে।
