ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ, নাচোল ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা ছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ। গতকাল দিনব্যাপী তাদেরকে লুটপাট ও বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিন দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুময়ান রেজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।

অপরদিকে গোমস্তাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামান উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা। গ্রেপ্তার জামাল উদ্দিন (৫৬) গোমস্তাপুর বাজারপাড়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 

এছাড়া শিবগঞ্জ পৌরসভার বাগানটুলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. সাফিউল ইসলাম নিরব ওরফে কানা নিরবকে। কানা নিরব (২৭) বাগানটুলী এলাকার মো. রবিউল ইসলাম রবুর ছেলে এবং শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে নাচোল থানা পুলিশের পৃথক মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- নাচোল পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামের মৃত বেলাল আনসারীর ছেলে মো. মঞ্জুর আনসারী (৪২) ও আ.লীগ নেতা নাচোলের ঘিওন ডাউনপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আমিত হাসান মিঠুন (২৭)। মো. মঞ্জুর আনসারী আওয়ামী লীগের নাচোল পৌর শাখার সদস্য। আর মো. আমিত হাসান মিঠুন আওয়ামী যুবলীগের নাচোল উপজেলা শাখার সক্রিয় সদস্য। 

এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে নুরুল হুদা এবং হুজরাপুর জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকা থেকে মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ নামের আরও দুই যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি মালখানা লুটপাটের মামলা রয়েছে।

এদিকে বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন ও গোলাম রাব্বানী ফটিক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে আসলে আদালত প্রাঙ্গন থেকে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

রুহুল আমীন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গোলাম রাব্বানী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

NJ
আরও পড়ুন