নাটোরের গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হকের বিরুদ্ধে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। একপর্যায়ে ওসির ওপর অনাস্থা জানিয়ে তাকে প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন সভায় অংশগ্রহণকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, ওসির সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ সংক্রান্ত তথ্যও তিনি দিচ্ছেন না। দিল মোহাম্মদ, আলী আক্কাছ, রাশিদুল ইসলামসহ উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, একই এলাকায় এক মাসে ১৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হলেও পুলিশ এখনো চোরচক্র শনাক্ত করতে পারেনি। চুরি, মাদক ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে ওসি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তারা। এ সময় ওসির প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সভায় সাবেক উপজেলা জামায়াত আমির আব্দুল খালেক বলেন, ওসি আসমাউল হক রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। জনগণের সেবক হয়ে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে তিনি প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। সাংবাদিকরা আরও উল্লেখ করেন, সিংড়ায় দায়িত্ব পালনের সময়ও তথ্য চাওয়ায় এক সাংবাদিককে ‘ডেভিল হান্ট’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছিলেন এই ওসি। আন্দোলনের মুখে সেখান থেকে বদলি হয়ে গুরুদাসপুরে আসলেও একই আচরণ করছেন বলে অভিযোগ তাদের।

মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ বলেন, তিনিও ব্যক্তিগত ভাবে ওসির অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না। এমনকি নৌকা বাইচের মতো বড় আয়োজনে সচিব, ডিআইজি ও ডিসি উপস্থিত থাকলেও প্রত্যাশিত সহযোগিতা দেননি ওসি। এতে উপজেলা প্রশাসন ও থানার মধ্যে অস্বস্তিকর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযোগের জবাবে ওসি আসমাউল হক বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষায় তিনি কঠোর হতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তার কর্মকাণ্ড ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি শাহজাহান আলী বলেন, অতি দ্রুত তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
লালপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা 