ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক

হাসপাতালে পরিদর্শন করতে এসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘একটা সভ্য সমাজে এ ধরণের আচরণ যারা করতে পারে তারা আসলে মানুষের কাতারে পড়ে না।’

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক মানিক নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

শনিবার (৮ মার্চ) সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।

পরে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ভূল্লি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার (৯ মার্চ) সকালে মোজাম্মেলকে আদালতে নেওয়া হয়। 

ভূক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী। এসময় সুযোগ বুঝে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে হিংস্র আচরণ করে ওই শিক্ষক।

হাসপআতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশুকে আমরা হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ভর্তি করি। তাকে চিকিৎসা দিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্টগুলোর আসার পর আমরা আসলে নিশ্চিত হতে পারবো যে এটি আসলেই ধর্ষণ কি না।

ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাসপাতালে পরিদর্শন করতে এসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘একটা সভ্য সমাজে এ ধরণের আচরণ যারা করতে পারে তারা আসলে মানুষের কাতারে পড়ে না। ধর্ষক ব্যক্তি যে দলেরই হোক না কেন অথবা যত বড়ই নেতা হোক না কেন অন্যায়কারীকে আমরা কেউই প্রশ্রয় দেব না।’

AA
আরও পড়ুন