ঢাকা
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের আগে গরুর লাম্পি স্কিন রোগের সংক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

গাইবান্ধায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। চিকিৎসা করেও তেমন ফলাফল না পাওয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামার ও গরুর মালিকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যখন গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। সেই মুহূর্তে গরুতে লাম্পি স্কিন ভাইরাস দেখা দেওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।

হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অসুস্থ একটি গরুকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। ছবি: খবর সংযোগ

গরুর মালিকরা জানান, আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর, গলা ফুলা ও খাবারে অরুচি দেখা দেয়। এরপর  শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি বা ফোস্কা ওঠে। পায়ে ও শরীরের নিম্নাংশে ফুলে পানি জমে। একপর্যায়ে গুটি বা ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এ রোগ এক গরু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে অন্য গরুতে। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করেও মিলছে না সুরাহা। রোগ না কমায় হতাশা খামারিরা।

পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের সফিউল মিয়া জানান, আক্রান্ত গরুর হঠাৎ জ্বর আসে। এক বা দুই দিন পর গায়ে ও গলার পাশে ফোস্কা উঠে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। চিকিৎসা দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। একটি গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে।

ছবি: খবর সংযোগ

 এদিকে এ রোগ থেকে গবাদি পশুকে বাঁচাতে অ্যান্টিবাইটিকের ব্যবহার বন্ধসহ কৃষকদের সচেতন ও গোয়াল ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি জানান, আক্রান্ত গরুকে স্বাভাবিক খাবারের পাশপাশি বেশি করে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। মুখে স্যালাইন খাওয়াতে না পারলে শরীরে পুশ করতে হবে। একাধিক ভ্যাটেনারি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। কোনোভাবেই স্থানীয় বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না।

ছবি: খবর সংযোগ

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার ২০৩টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার দুগ্ধজাত ও ১১ হাজার ২৭০টি মোটাতাজাকরণ গরুর খামার আছে। যেখানে আসন্ন কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে

RA
আরও পড়ুন