পঞ্চগড় সীমান্তে ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়ে রাজু ইসলাম (৩৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাজু ঘাগড়া সীমান্ত এলাকার ঝুলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তবে বিজিবি ও পরিবারের দাবি হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, শনিবার গভীর রাতে রাজুসহ কয়েকজন যুবক ঘাগড়া ঝুলিপাড়া সীমান্তের কাছে গরু আনতে যায়। সীমান্তের বিপরীতে ভারতের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে সবাই পালিয়ে এলেও রাজুর দুই পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলের পাশেই রাজুর বাড়ি হওয়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই রাজু বাড়ি ফিরে। আহতাবস্থায় পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইয়েদ নুর-ই আলম বলেন, খবর পেয়ে রাজুর বাড়িতে এসে দেখি তার দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে বিজিবিকে খবর দেওয়া হলে বিজিবি দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিএসএফ’র গুলির কারনেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে রাজুর মৃত্যু হতে পারে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা দাবি করেছেন বিএসএফের গুলিতে নয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ বলেন, নিহতের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
