প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ছেড়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন চলতে শুরু করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়েন। এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সড়ক ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, আমরা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়েছি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফকে একাধিকবার ফোন করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অবরোধ চলাকালে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে অবরোধ প্রত্যাহারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে যান চলাচল।
প্রতিষ্ঠার প্রায় নয় বছর পরও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ১২০০ শিক্ষার্থী, ৩৪ শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ কর্মচারী নিয়ে বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সঙ্গীত ও ব্যবস্থাপনা- এই পাঁচটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠালেও তা এখনও অনুমোদন পায়নি।
২০২৫ সালে ১০০ একর জমিতে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা একনেকের নীতিগত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দ্রুত অনুমোদন ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
