ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কমলগঞ্জে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম

এই হেমন্তে মৌলভীবাজারের কলমগঞ্জে নৈসর্গিক শোভা ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল। জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও এর ফুলগুলো সাদা পাপড়ির মধ্যে বেগুনি ছোপযুক্ত, মাঝখানে রয়েছে হলুদ ফোঁটা। ঘ্রাণ না থাকলেও  ময়ূরের পালকের মতো দেখতে এ ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে তুলছে সবাইকে। প্রকৃতি শুষ্ক তাই খাল-বিলে বেশি পানি না থাকলেও দুই-তিন ফুট জমানো পানিতে ধরেছে রাশি রাশি কচুরিপানার ফুল।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখে গেছে, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে পরিত্যক্ত জলাশয়ে ফুটেছে অজস্র কচুরিপানা ফুল। এ যেন ফুলের উৎসব! এছাড়া কমলগঞ্জের খাল, বিল, পুকুর, ডোবা ও জলাশয় ছেয়ে গেছে কচুরিপানার ফুলে। অযত্নে বেড়ে ওঠা ফুলগুলো প্রকৃতিতে ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা।

স্থানীয়রা জানান, এ সময়টা পুকুর, ডোবাসহ বদ্ধ জলাশয়ে পানি শুকিয়ে যায়। তাই অল্প পানিতে ব্যাপক কচুরিপানা জন্মেছে। এসব কচুরিপানায় ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।

কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু বলেন, কচুরিপানা নিজ থেকেই জন্মায়। যখন বদ্ধ জলাশয়গুলোতে পানি কম থাকে তখন এ ফুল ফোটে, যা দেখতে অনেক সুন্দর। কম-বেশি অনেকেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আসলে খুবই সুন্দর লাগছে ফুলগুলো। আমাদের উপজেলা পরিষদের আলাদা একটা সৌন্দর্য নিয়ে এসেছে কচুরিপানা ফুল! ’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় জানান, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সঠিকভাবে কচুরিপানা সংরক্ষণ করে জৈব সার তৈরি করা যায়। এতে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা কচুরিপানাকে কাজে লাগানোর জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেই।’

RA
আরও পড়ুন