সিলেটের জমজমাট ঈদবাজার। বিপণিবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে বইছে ঈদের আমেজ। সবখানেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটার ধুম। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে বাজারের ভিড় বেড়ে যায়।
নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজারের বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এ বছর পুরুষ ক্রেতাদের আগ্রহে রয়েছে পাঞ্জাবি ও মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থ্রিপিস ও শাড়ি। এসব দোকানগুলোতে বেশি ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন শপিং মলে পুলিশের উপস্থিতিও দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সকালের দিকে ক্রেতা কম থাকলেও বিকেল থেকে রাত বাড়ার সাথে সাথে বাজারের ভিড় বেড়তে থাকে। অনেক দোকানদার মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা রাখছেন, যাতে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারেন।
এদিকে, বিপণি বিতানের মতোই ফুটপাতের দোকানগুলোতেও বিক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করার মতো। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামের পোশাক, জুতা ও অন্যান্য পণ্য কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
জিন্দাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা মুক্তার হোসেন মান্না বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে নিজের ও পরিবারের জন্য কাপড় কিনতে দোকানে এসেছি। এ বছর ঈদের বাজার খুবই জমজমাট। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছর ব্যবসায়ীরাও ঈদবাজার নিয়ে দারুণ আশাবাদী।
জিন্দাবাজারের এক বিপণি বিতানের বিক্রেতা মাহবুব হাসান বলেন, ‘আমরা সারা বছর দুইটা ঈদের অপেক্ষা করি, এসময় বেচা-কেনা একটু বেশি হয়। এ বছর ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম হচ্ছে। তবে যেহেতু ঈদের আরও কিছু দিন বাকি আছে আশা করি বেচাকেনা আরও বাড়বে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শপিং মলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্ট ট্র্যাফিক বিভাগ বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে। যানজট কমাতে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা।
এক কাতলের দাম ৭০ হাজার