মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশার স্বীকারোক্তি

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা লায়লা ফিরোজ ও মেয়ে নাফিসা আজিজকে হত্যা মামলায় স্বামী রাব্বির পর এবার মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়িতা ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম রিমান্ড শেষে আয়েশাকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আয়েশা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হলে আদালত তা রেকর্ড করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসা থেকে লায়লা ফিরোজের রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার মেয়ে নাফিসাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাফিসাকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন সকালে তিনি কর্মস্থলে চলে যান। পরে স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাসায় ফিরে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ ও মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান।

সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করে এবং ৯টা ৩৫ মিনিটে একটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় সে নিহত নাফিসার মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। ফুটেজে আরও দেখা যায়, আয়েশা নিহত নাফিসার পোশাক পরেই শান্তভাবে হেঁটে ভবন থেকে বেরিয়ে একটি অটোরিকশায় উঠে চলে যায়।

ঘটনার পর গত ১০ ডিসেম্বর ঝালকাঠির নলছিটি থেকে আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আয়েশার ছয় দিনের এবং রাব্বির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৪ ডিসেম্বর রাব্বিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

DR/FJ
আরও পড়ুন