রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ আইন ও বিল্ডিং কোড প্রতিপালনে বিবাদীর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক অনুমোদেন কীভাবে দেওয়া হয় তা-ও জানতে চেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, গ্রিন কোজি কটেজের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সাথে হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এতে সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষ রয়েছেন।
