৫ অভিযোগে শুরু হলো হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর অনুমতিতে এই বিচার শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

পাশাপাশি এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আসামি। এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো-

১. ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে রাজাকার এবং রাজাকারের বাচ্চা বলেছিলেন। তাদেরকে নির্মূল করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরই ধারবাহিকতায় প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। আহত হন প্রায় ২৫ হাজার। তার উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সারাদেশ ব্যাপী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আল মামুনের নেতৃত্বে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়।

২. গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথোপকথন এবং ১৮ তারিখে তার ভাতিজা শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে আরেকটি টেলিফোন করভারসেশনে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে হেলিকপ্টর ও ড্রোন ব্যবহার করে দেখামাত্র গুলি করে হত্যার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

৩. ১৬ জুলাই রংপুরে নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ পরপর অনেকগুলো গুলি করে হত্যা করে। শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রেক্ষিতে এটি হয়েছিল এবং এ নির্দেশটি প্রকাশ হয়েছিল তার টেলিফোন কনভারসেশন থেকে।

৪. ৫ আগস্ট যখন সারা বাংলাদেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকা আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যখন ছাত্র-জনতা আসছিল সে সময় রাজধানীর চানখাঁর পুল এলাকায় বেলা ১০টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এই তিন আসামির নির্দেশে পুলিশ ৬জনকে গুলি করে হত্যা করে।

৫. তাদের নির্দেশে সাভারের এমপিসহ অধীনস্তদের সাহায্যে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ৫ আগস্ট বিকালে লেথাল উইপন ব্যবহার করে পুলিশ ৬ জনকে হত্যা করে এবং লাশ পুড়িয়ে ফেলে।

RF/AHA
আরও পড়ুন