জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাক্ষ্য দিতে পারেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, যারা ওই সময়ের হতাহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিন আদালতে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও হাজির করা হয়। ইতোমধ্যে মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সাক্ষ্য দিতে আসা প্রত্যেকে জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতার বর্ণনা দেন এবং এতে জড়িত সকলের বিচারের দাবি জানান। তাঁরা শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপন করে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে চলা আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে এসব ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ফেব্রুয়ারির আগেই
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আবারও রিমান্ডে