ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আরও ৫ দেশে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদের খোঁজ

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২ এএম

সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার, আরও ৫ দেশে ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানের আগেই এসব নথি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকার সিকদার বাড়ি থেকে এসব আলামত জব্দ করা হয়।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের তথ্য-সম্বলিত ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার করেছে দুদক। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে থাকা ৫৮২টি সম্পদের বাইরেও ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ক্যাম্বোডিয়ায় তার বিপুল অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। 

রোববার সকালে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ৪টা ১৫ মিনিটে কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পুলিশ ও অন্যান্য সাক্ষীর উপস্থিতিতে এসব নথি জব্দ করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত নথিতে বিদেশে নতুন সম্পদ অর্জন, বাড়ির মালিকানা, ভাড়া থেকে আয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এছাড়া, এসব নথিতে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে মুদ্রা পাচার অর্থাৎ মানিলন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে।

অভিযানের আগে নথি সরানোর চেষ্টা

দুদক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে, অভিযানের আগেই এসব নথি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর কালুরঘাটে অবস্থিত আরামিট গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে বস্তাগুলো সরিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ইউসিবিএলের চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানের ড্রাইভার মো. ইলিয়াস তালুকদার। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের অভিযানের আগে তিনি সেগুলো পাশের ওসমান তালুকদারের বাড়িতে সরিয়ে রাখেন, যেখান থেকে দুদক সেগুলো উদ্ধার করে।

দুদকের অনুসন্ধান টাস্কফোর্স জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ এই নথি পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ একটি প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।

AHA
আরও পড়ুন